তালতলীতে তিনলক্ষ মানুষের জন্য মাত্র একজন চিকিৎসক

তালতলীতে তিনলক্ষ মানুষের জন্য মাত্র একজন চিকিৎসক

মোঃহাইরাজ তালতলী বরগুনা সংবাদদাতা: তালতলীতে মাত্র একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে প্রায় তিন লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা চিকিৎসক সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পর্যটকসহ তালতলী উপকূলের প্রায় তিনলক্ষ মানুষ।স্থানীয় সূত্র জানায়, তালতলীতে আগত পর্যটক ও উপকূলীয় এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র এ হাসপাতালটি। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলার প্রায় প্রায় তিন লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন এবং ডাক্তার, নার্স ও আয়াদের জন্য কোয়ার্টারসহ অন্যান্য বিভাগের জন্য ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করে ২০০৬ সালে পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডেপুটেশনে ডাক্তারসহ ১৭ জন স্টাফ এনে তালতলী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কার্যক্রম (আন্তঃবিভাগ ছাড়াই) চালু করা হয়। হাসপাতাল চালুর ২ মাসের মাথায় স্টাফদের ডেপুটেশন বাতিল হলে তারা আমতলী হাসপাতালে ফিরে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় তালতলী হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম। পরে স্থানীয় সংসদ অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ১২বৎসর পর ফের হাসপাতালটির ইনডোর ও আউটডোর চালু করেন ২০১৮সালে ২৫শে ফেব্রুয়ারি বর্তমানে হাসপাতালটিতে নেই পর্যপ্ত সংখ্যক জনবল। প্রতিনিয়ত পর্যটকসহ এলাকাবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, তালতলী আধুনিক দ্বিতল চিকিৎসা ভবন, সেবিকা ভবন, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য দুটি আবাসিক ভবন, থাকলেও বাস করার উপযোগী নেই ভিতরের কোয়াটার গুলো খুবই নোংরা হাসপাতালের চারপাশে ময়লা আবর্জনায় ভরে রয়েছে। হাসপাতালের বাউন্ডারির ভিতর অবাদ গরু ছাগল বিচারন করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার, সাতটি ইউনিয়ন প্রায়় তিন লক্ষ মানুষ বসবাসরত একজন চিকিৎসক থেকে কাঙ্খিত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেনা। এ ছাড়া সোনাকাটা ইকোপার্ক ও শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিংবা পটুয়াখালী-বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বাধ্য হচ্ছে। বর্তমানে ১জন ডাক্তার আর তিন জন নার্স ছাড়া বাকি সব পদ শূন্য রয়েছে। তালতলী উপজেলা হলেও হাসপাতালেটি এখনো পার্শবর্তী উপজেলা আমতলী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির সাবসেন্টার হিসাবে কাগজ-কলমে ব্যবহৃত হচ্ছে। অথচ২০১০ সালের ৬ মে তালতলীকে উপজেলা ঘোষণা করে সরকার উপজেলা ঘোষণার ৯ বৎসরপার হলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পায়নি তালতলী উপজেলা বাসি। এ বিষয় তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মোঃরেজবিউল কবির জোমাদ্দার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তালতলী উপজেলা বাসীর আকুল আবেদন যেহেতু তালতলী উপজেলা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান এবং এই তালতলী তার নির্বাচিত এলাকা তাই আমি মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের এই হাসপাতাল২০ শয্যা থেকে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট অথবা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি উন্নত মানের হাসপাতাল তৈরি করে দিবেন। তালতলী উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা:মেজবাউল হক চৌধুরী বলেন, বর্তমানে হাসপাতালটিতে আমি ছাড়া আর কোনো মেডিকেল অফিসার নেই। উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা রোগীদেরকে সেবা দেয়া আমার একার পক্ষে খুবই কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। আমার বিভিন্ন সময় ট্রেনিং প্রশাসনিক কাজ কর্ম আমাকে দেখতে হয়। সব মিলিয়ে রোগীদের সেবা দেয়া সম্ভব হয় না। আমার বাবা অসুস্থ থাকার পরেও চিকিৎসক সংকটের কারণে ছুটি নিতে পারিনা চিকিৎসক সংকটের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিভিল সার্জন অফিসে বারবার অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।